ডাক্তারদের মতে সিজারের কতদিন পর মিষ্টি খাওয়া যায়

একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় হচ্ছে ,সন্তান জন্ম দেয়ার সময়। প্রসবকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের সন্তান গর্ভে থাকাকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিতে হয়। তাই একজন মায়ের সন্তান জন্মের সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। স্বাভাবিক প্রসবের চেয়ে সিজারিয়ান প্রসাবের অনেক যত্ন নিতে হয়। কারণ এখানে অপারেশন এর একটি ব্যবহার রয়েছে।  আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো ডাক্তারদের মতে সিজারের কতদিন পর মিষ্টি খাওয়া যায় ?


সিজারের কতদিন পর মিষ্টি খাওয়া যায়


ডাক্তারদের মতে সিজারের কতদিন পর মিষ্টি খাওয়া যায়

মিষ্টি একটি শর্করা জাতীয় খাবার। মিষ্টি সহ এরকম শর্করা জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।  বিশেষ করে যারা গর্ভধারণের আগে থেকে একটু ফ্যাটি অবস্থায় রয়েছেন তাদেরকে এই বিষয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।  এছাড়াও প্রোটিন ফল ও শাকসবজি বেশি বেশি পরিমাণে খেতে হবে । তবে ঘি এবং মাখন এবং মিষ্টি খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।  কারণ এই শর্করা বা মিষ্টিজাতীয় খাবার শরীরের চর্বি জমে।  যা অপারেশনের পর খাওয়া উচিত নয়। তাহলে অপারেশনের ঘা তাড়াতাড়ি শুকাতে বিলম্ব ঘটায় বা সমস্যা হয়। 

তাই সিজারের পর অবশ্যই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত কারণ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায় এবং মিষ্টি এবং চর্বিজাতীয় ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত কারণ এই সমস্ত খাবার খেলে ঘা শুকাতে বিলম্ব ঘটে

সিজারের পর সুস্থ হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম

সিজারের পর সুস্থ থাকতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় সেই নিয়ম কানুন এর মধ্যে প্রথমে আপনি প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে পারেন সিজারের রোগীকে পানি শরীরের পুরোহিত ব্যালেন্স রক্ষা করতে সাহায্য করবে এবং অস্ত্র থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে তাই একজন সিজারিয়ান রোগীর জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া প্রয়োজন

আরো পড়ুন..

হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে

যদি নরমাল ডেলিভারি হয় তাহলে এক থেকে দেড় মাস পর অথবা যদি সিজার হয়ে থাকে তাহলে অন্তত দুই মাস পর হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে পেটের ব্যায়াম গুলো ৮ থেকে ৯ মাস পর শুরু করলে ভালো হয় কিন্তু শারীরিক ভাবে যেকোন ব্যায়াম করে নিতে পারবে

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোতে হবে

শরীর এবং মন সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের বিকল্প নেই।  তাই ক্লান্তি কাটাতে অনেকে অনেক বেশি বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন।. যার ফলে ওজন বেড়ে যায় এবং বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা ওজন বৃদ্ধির ফলে সিজারিয়ানের সময় বিশেষ ধরনের ঝামেলায় পড়ে। তাই তাদেরকে উচিত অতিরিক্ত না খাবার খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ কমানো উচিত এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যায়াম করা উচিত। তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং ফ্যাটি থেকে বাঁচতে পারবে এবং  প্রোটিনযুক্ত খাবার বেছে বেছে খেতে হবে। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url